Akhtar Furnishers i Dhaka

🕗 åbningstider

kommentar 1

• 

  Abdus Sattar Sazib

  :: 22 March 2018 16:39:37

  আসবাবপত্র বলতে সেই সব বস্তুকে বোঝায় যা মানুষের বিভিন্ন কাজে(যেমন : শোয়া ,বসা) সাহায্য করে ও আরামদায়ক করে। তাছাড়া বিশেষ কিছু কাজ (যেমন:লেখা, পড়া) করার জন্য কোনো কিছুকে আনুভূমিক উচ্চতায় আনতে কিছু আসবাব সাহায্য করে।আবার ঘরের নানা সামগ্রি সাজিয়ে রাখতে আসবাব ব্যবহার করা হয় । কাঠ ,বাশ ,প্লাস্টিক ইত্যাদি উপাদান আসবাবপত্র তৈরি করতে প্রয়োজন। কারুকাজ এর মাধ্যমে আসবাবপত্র কে সুন্দর ও মনোরম করা হয়। একটি গবেষনায় বলা হয়েছে প্রায় ত্রিশ হাজার বছর আগ থেকে মানুষ কাঠ ,পাথর ইত্যাদির সাহায্য আসবাব তৈরি শিখেছে। স্কটল্যান্ডের ৫ হাজার বছর পুরোতন সভ্যতায় নানা ধরনের পাথরের আসবাব পাওয়া গেছে।প্রাচীন মিশরীয়রা যে নানারকম আসবাবপত্র ব্যবহার করত তার প্রমান পাওয়া গেছে। সাধারন আসবাবপত্র বিছানা - মানুষের ঘুমানর জন্য তৈরি একটা আসবাব।এতে জাজিম বা তোষক দিয়ে তার উপর চাদর দিয়ে শোয়া হয় । চেয়ার - বসার জন্য এ আসবাব তৈরি হয়েছে।বর্তমানে কাঠ ও প্লাস্টিক দিয়ে চেয়ার তৈরি হয় টেবিল - লেখা, পড়া, খাওয়া ইত্যাদি কাজের জন্য টেবিল তৈরি হয়েছে। কাজের সুবিধার জন্য এটি কোনো কিছু কে আনুভূমিক উচ্চতায় আনতে সাহায্য করে। দেশি আসবাবপত্র বাংলাদেশ বা বাংলা অঞলে আসবাব বলতে সাধারণত বাংলার গ্রাম দেশের মানুষের নিজেদের জন্য তৈরি আসবাব। যেমন: খাট,বিছানা(কারুকাজ মন্ডিত )এগুলো বাংলার মানুষের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রকার উপাদান আসবাব তৈরিতে ব্যবহৃত হলেও কাঠই প্রধান উপাদান। প্রায় সব রকমের কাঠ আসবাব তৈরিতে ব্যবহার হয় । শক্ত ও নরম উভয় প্রকার কাঠ ব্যবহার উপযোগি। তবে শক্ত কাঠ বেশি ভাল । ওক, মেহগনি, চেরি ইত্যাদি গাছে শক্ত কাঠ পাওয়া যায়। প্রায় সব বাসাতেই কাঠের আসবাবপত্র রয়েছে। একটা সময় ছিল, কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবহারে আভিজাত্যের প্রকাশ পেত। সময়ের পরিক্রমায় নানা রকমের আসবাবপত্র দেখা মিললেও কাঠের গুরুত্ব কোন অংশেই কমে যায় নি। বরং কাঠের তৈরি আসবাবপত্রের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। সঠিক নিয়মে কাঠের আসবাবপত্রের যত্ন নেওয়া হলে এর উজ্জ্বলতা ধরে রাখা সম্ভব অনেক দিন।  প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত মানুষ কাঠ দিয়ে ঘরের আসবাবপত্র তৈরি করে আসছে। কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসার সুবিধা হল এর চাহিদা সারাবছরই থাকে। গ্রাম বা শহর, মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত সবার কাছেই কাঠের আসবাবের সমান চাহিদা রয়েছে। কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসার জন্য একটি বড় দোকান ঘর প্রয়োজন। দোকানটি হাটে বা বাজারের মধ্যে হলেই ভালো হয়। আবার অনেক সময় আবাসিক এলাকাতে এ ধরণের দোকান বানানো যেতে পারে। স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে, কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা এর মধ্যে অন্যতম। পুঁজি বেশি থাকলে যে কোনো ব্যক্তি কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র, শো-পিস, সৌখিন পণ্য ইত্যাদি তৈরি এবং কাঠের আসবাবপত্র বিক্রি করা উভয়ই ব্যবসা হতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায় এ ধরনের ব্যবসায়ীরা কাঠমিস্ত্রিদের কাছে অর্ডার দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের আসবাবপত্র বানিয়ে দোকানে এনে বিক্রি করে থাকে। কাঠের আসবাবের ব্যবসা করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন একটি বড় দোকান ঘর। দোকান ঘরটি ইটের তৈরি হলে ভালো হয়। ছাউনী হিসেবে টিন বা মজবুত যে কোন সামগ্রীর তৈরি হতে হবে। কাঠের আসবাব যেহেতু আকারে বড় হয় তাই দোকানের আকার ও বড় হলে ভালো হয়। কাঠের আসবাব যদি উন্নত কাঠ দিয়ে তৈরি না হয় তাহলে তা সহজেই ঘুণে ধরবে। বিভিন্ন গাছের কাঠ দিয়ে আসবাব তৈরি করা হয়। মেহগনী, জাম, কাঁঠাল, আম, সেগুন, নিম ইত্যাদি। কোন কোন গাছের কাঠ আসবাবপত্রের জন্য ভালো হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। অপরিপক্ক কাঠ দিয়ে আসবাব তৈরি করলে পরবর্তীতে আসবাবের জোড়া দেয়া স্থানগুলো ফাঁকা বা বাঁকা হয়ে যেতে পারে, তাই পরিপক্ক কাঠ দিয়ে তৈরি আসবাবই দোকানে বিক্রি করতে হবে। কাঠের তৈরি আসবাবগুলোতে যেন ভালো মানের বার্নিশ ব্যবহার করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ বানির্শ-ই আসবাবকে উজ্জ্বল ও দীর্ঘস্থায়ী করে এবং ছত্রাক বা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। অনেক সময় ক্রেতারা দোকানে অর্ডার দিয়ে আসবাব বানিয়ে নেয় সেক্ষেত্রে ক্রেতার পছন্দ করা ডিজাইন ও নির্দিষ্ট মাপের আসবাবই সরবরাহ করতে হবে। আসবাব পত্রের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, ‘অল্প লাভে বেশি ব্যবসা’ ন্যায্য মূল্য রাখলে বিক্রি বেশি হবার সম্ভাবনা থাকে। ভালো ব্যবসার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভালো ব্যবহার। পণ্যের ভালো মন্দ দিকগুলো ক্রেতাকে জানাতে হবে। ভালো ব্যবহারে ক্রেতারা আকৃষ্ট হয়।